রিযিক বৃদ্ধির দুইটি অব্যর্থ ও প্রমাণিত আমল

                                রিযিক বৃদ্ধির দুইটি অব্যর্থ ও প্রমাণিত আমল


কুরআন ও হাদীসের আলোকে রিযিক বৃদ্ধির আমল


আমরা কে না চাই যে, আমাদের রিযিক বৃদ্ধি পাক? হালাল রিযিকের জন্য আল্লাহ কাছে দুআ করা ও অভাব-ঋণগ্রস্ত অবস্থায় না ফেলার জন্য রাসূল (সা) নিয়মিত দুআ করতেন। বিশেষ করে ঋণের থেকে হেফাজতে থাকার জন্য রাসূল (সা) আল্লাহর কাছে দুআ করতেন। তিনি ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তির জানাজার সালাত পড়াতেন না।

আজকে আমরা হালাল রিযিক বৃদ্ধির দুইটি আমল সম্পর্কে জানব। আগামী দিনগুলোতে পর্যায়ক্রমে আরো ৮-১০ টা আমল আমরা নিয়মিত ভাবে পোস্ট করব ইনশাআল্লাহ। তাই আমাদের অ্যাপটি নিজে ব্যবহার করুন, অন্যদেরকেও ব্যবহার করতে উৎসাহিত করুন।

রিযিক বৃদ্ধি বিষয়ক দুইটি আমল নিচে তুলে ধরা হলো। প্রথমটি কুরআন থেকে প্রাপ্ত আর দ্বিতীয়টি হাদীসে রাসূল (সা) হতে প্রাপ্ত।
॥॥ তাকওয়া অবলম্বন করা ॥॥

আল্লাহর ভয় তথা তাকওয়া অবলম্বন করা। তাঁর আদেশগুলো পালন ও নিষেধ করা বিষয়গুলো বর্জন করা। পাশাপাশি আল্লাহর ওপর অটল আস্থা রাখা। তাওয়াক্কুল করা এবং রিজিক অন্বেষণে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা। কারণ, যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

“আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।”
(সূরা আত-তালাক, আয়াতঃ ২-৩)

॥॥ আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা ॥॥

আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাদের হক আদায়ের মাধ্যমেও রিযিক বাড়ে।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ 

"যে লোক তার জীবিকা প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।"
(বুখারী ৫৯৮৫ -

অর্থাৎ আমরা যদি আমাদের আত্মীয়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখি, তাদের হক্ব আদায় করি, তাদের জন্য সাধ্য মত খরচ করি, তাদের মধ্যে অভাবীদেরকে সহযোগিতা করি। তাহলে আমাদের হায়াত ও রিযিকে আল্লাহ বরকত দিবেন ইনশাআল্লাহ। তাই ঈদের এই ২-১ দিন আগে, আসুন আমরা আমাদের আত্মীয়দের জন্য সামান্য কিছু হলেও হাদিয়া পাঠাই। দেখা করতে না পারলে সম্ভব হলে মোবাইলে অন্তত ১০ টাকা রিচার্জ করে দিয়ে বলি "ঈদের বখশিশ দিলাম"। আল্লাহ আমাদের মনের অবস্থা জানেন। এই সামান্য উপহারের জন্য তিনি যতটা খুশি হবেন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ এর প্রতিদান আমাদেরকে দিবেনই দিবেন!

আল্লাহ আমাদের সকলের অভাব দূর করে দিন। প্রত্যেকের ক্যারিয়ারকে সফল করুন। রিযিক বৃদ্ধি করে দিন। আমীন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ